Looking For Anything Specific?

Header Ads

সাইবার বুলিং : সচেতনতাই রোধের বড় উপায়

 

সাইবার বুলিং

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার গাণিতিক নয়, রীতিমতো জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। প্রযুক্তির ঔৎকর্ষ বর্তমান সময়ে যেমন মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করেছে তেমনি এর  ক্ষতিকর প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমগুলোতে নানা ধরনের সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন কমবেশি সব ধরনের মানুষ।তবে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার বুলিং ।অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীরাই এর প্রধান শিকার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ ধরনের  অপরাধ।

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে দুইজন ব্যক্তির মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে একজন ব্যক্তিকে সুনির্দিষ্টভাবে সবার সামনে দোষারোপ করা বা খারাপ ভাষায় আক্রমণ করা, কারো ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে অনলাইনে তুলে ধরা ইত্যাদি হলো  সাইবার বুলিং। এসব সাইবার বুলিং অপরাধ মূলক আচরণ যা অতিক্রম করে মানবতার অধিকার।

পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে সাইবার বুলিং ও অপরাধের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ৮০ শতাংশ নারী যাদের বয়স ১৪ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। অন্য দিকে সাইবার অপরাধী ও হ্যাকারদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ১৭ থেকে ১৮ বছরের কিশোর।

ইউনিসেফের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী দেখা গেছে, সাইবার বুলিং শিকার ১০ শতাংশ তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড অন্যদের কাছে বলেছে। ১৯ শতাংশ ভুক্তভোগী অপ্রীতিকর মেসেজ পেয়েছে ১২শতাংশ  ভিকটিম যৌনতা বিষয়ক ছবি বা ভিডিও। ৫ শতাংশ ভুক্তভোগীকে যৌনতার প্রস্তাবে সম্মতি দিতে জোর করা হয়েছে।

এসব  অপরাধ দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি অপরাধ ঠেকানোর বড় একটা উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা বাড়ানো। সচেতনতার মাধ্যমেই সাইবার বুলিং প্রতিরোধ করা সম্ভব প্রতিরোধ করা সম্ভব।

নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্ক থাকবেন যেভাবে: কেউ যদি খুব খারাপভাবে আক্রমণ করে এবং এই নিষ্ঠুর আচরণের জন্য আপনি নিজেকে দোষী ভেবে কষ্ট পাবেন না। অন্যের আচরণের দায় আপনার নয়। সাইবার বুলিংয়ে আক্রান্ত হলে কখনোই আপনি সাড়া দেবেন না এবং নিজেও পাল্টা আক্রমণ করবেন না।আপনাকে বুলিং করা হয়েছে বা আপনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন, এর সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করবেন।

প্রাথমিকভাবে যে বা যার দ্বারা বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন এবং আপনার সপক্ষে যুক্তিগুলো গুছিয়ে জানাতে পারেন। আপনি না পারলে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়কেও এই আলোচনাটুকু করতে অনুরোধ করতে পারেন।বুলিংয়ের শিকার যেহেতু নারীরা বেশি হন এবং তাঁরা তাঁদের সমস্যাগুলো এখনো পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাই বুলিংয়ের শিকার হলে অবশ্যই একজন বন্ধু, আত্মীয়, ভাই বা বোনকে জানাতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার সব অ্যাকাউন্টেই ব্লকের অপশন থাকে। প্রাথমিক বুলিং হলে বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অসংলগ্ন কথা বললে তাকে ব্লক করে দিতে পারেন।যদি বুলিং থেকে সেটি বড় ধরনের হুমকিতে পরিণত হয়, যা শারীরিক আক্রমণ, জীবননাশের হুমকি বা বড় ধরনের মানসম্মানহানির কারণ হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আইনি সহায়তার সাহায্য নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ