Looking For Anything Specific?

Header Ads

শুভ্র || বুক রিভিউ



বইঃ শুভ্র

লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ

লেখক হুমায়ূন আহমেদ পরিচিতদের মধ্যে শুদ্ধ মানুষ না পেয়ে কল্পনার জগতে তৈরি করেছেন শুদ্ধ মানুষ। উপন্যাস লিখেছেন চরিত্র নিয়ে বেশ কটি। একসময় উনার মনে হয়েছে একেবারে নিখাদ শুদ্ধ মানুষ বলে কিছু হতে পারেনা। তাই নতুন করে লিখলেন তার শুদ্ধ মানুষ শুভ্র এর কাহিনী।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 শুভ্র এক অসাধারণ মেধাবী।বই ছাড়া পৃথিবীর আর কোন কিছুতেই যেন তার মন আটকাতোনা। এম.এস.সি পাশ করার পরেও মীরা নামের মেয়েটিকে ভালবাসার কথা বলতে পারেনি।

 অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল রেজাল্ট করেও যোগ দিতে পারেনি বাবার আকস্মিক মৃত্যুর কারনে। বাবার ব্যবসা সামাল দিতে গিয়ে জানতে পারে তিন বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে শুভ্র একটি ব্রোথেলের মালিক। যেখানে বাহান্নটি মেয়েদের দিয়ে ব্যবসা চালানো হয়।

সেখানকার এক মেয়ে আসমানী। শুভ্রের বাবার সাথে এই মেয়েটির ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক।সেই হিসেবে, মেয়েটি শুভ্রের সাথেও ঘনিষ্ট সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। একসময় শুভ্রের প্রতিদিনকার অভ্যাস হয়ে পড়ে নিশিকন্যাদের কাছে যাওয়ার। তার উদ্দেশ্য শুধু তাদের কাছে থেকে তাদের দুঃখ বুঝা।

গ্রাম থেকে উঠে আসা বিনু মেয়েটি কেউ না হয়েও হয়ে উঠে খুব কাছের একজন।ভালবাসতে শুরু করে শুভ্র তার পরিবারকে। বাবা মারা যাওয়াতেও দেখতে যায়নি শুভ্রের মায়ের অনুরোধে।কারন, মহিলাটি তখন পাগলের মত আচরণ শুরু করেছিলেন। জাহানারা বেগম অর্থ্যাৎ শুভ্রের মা শুভ্রকে প্রচন্ড ভালবাসতো। ছেলের দিনকে দিন বেশ্যালয়ে পড়ে থাকা মা সহ্য করতে পারেনি।

 অন্যদিকে তিনি ছিলেন সন্দেহভাজন মহিলা। রাজপুত্রের মত ছেলে যখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখতেন তিনি ভাবতেন শুভ্র বোকা কিসিমের তাকে যে কেউ ভুলিয়ে ফেলবে।

 শুভ্রের পুরো জীবনে খুঁজেছে এক বৃদ্ধকে যিনি জানিয়েছেন, কে শুভ্র? কি তার পরিচয়? কোথায় তার জন্ম?

হ্যাঁ পাঠক, ঠিক ধরেছেন শুভ্রের জন্ম ওইরকম কোন এক ব্রোথেলে কোন এক নিশিকন্যার পেটে ধারণ করেছিল শুভ্রকে।

নগরীর এই নোংরা উপাধি থেকে বাঁচতে শুভ্র চেয়েছিল শুদ্ধ হতে,পবিত্র হতে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই বিনুকে বলা, "নিজেকে সমর্পণ করলাম তোমার কাছে।"

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ