বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত চলা দায়। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলেই অনেকে স্লো ইন্টারনেট স্পিডের কথা বলেন। কিন্তু ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য কয়েকটি পদ্ধতি নিলে খুব সহজেই মোবাইল ও ল্যাপটপে ইন্টারনেট স্পিড বাড়িয়ে নিতে পারেবেন।
ওয়াইফাই ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উপায়:
রাউটার:
১.ওয়াইফাইর ইন্টারনেট স্পিড পেতে ভালো মানের ৫ গিগাহার্টস দুটি বা তিনটি এন্টেনা যুক্ত রাউটার ব্যবহার করুন। রাউটা দেয়াল ঘেঁষে না রেখে খোলামেলা স্থানে রাখুন এবং উচু কোন স্থানে বসান।
২. যেসব ডিভাইস থেকে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকিরণ হয় যেমন: টিভি রেডিও ওপেন স্পিকার ল্যাপটপ মোবাইল থেকে রাউটার দূরে রাখুন।
৩. প্রতিদিন কাজে বসার আগে ও পরে অন্তত দশ মিনিট রাউটার বন্ধ রাখুন।
৪. নিয়মিত রাউটারের ফার্মওয়্যার আপডেট করুন এবং রিসেট দিন।
তার ও বুস্টার:
১.কম্পিউটারের সাথে রাউটারের সংযোগ নতুন ইথারনেট তারের সাথে করুন ।
২.বড় এরিয়া জুড়ে কভারেজ পেতে রিপিটার ,ওয়াইফাই রেঞ্জ এক্সটেন্ডার, পাওয়ারলাইন এডাপ্টার ব্যবহার করুন।
৩.ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন।
৪.শুধু জরুরী কাজে পিক আওয়ারে ইন্টারনেট ব্যবহার করুন। অনলাইনে এইচডি ভিডিও সিনেমা দেখা ভিডিও কল ভিডিও স্ট্রিমিং কিংবা সফটওয়্যার আপডেট এর কাজ পিক আওয়ারে করাই ভালো।
৫. ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময় ভাগ করে দিতে পারেন।বাসায় বসে অফিস করছেন বা ক্লাস করছেন তখন অন্যদের বলুন ভিডিও কল, সিনেমা দেখা ,গেম খেলা ইত্যাদি না করতে।
মেমোরি:
১.বিভিন্ন অ্যাপে কাজ করা শেষে বন্ধ করে দিবেন।
২.কিছুক্ষণ পরপর রিসেন্ট ট্যাব রিমুভ করুন।
৩. যেসব অ্যাপ বা ডেটা কোন কাজে লাগে না সেগুলো আনইন্সটল করে দিন।
ভিপিএন নেটওয়ার্ক:
১. খুব প্রয়োজন ছাড়া ভিপিএন এর ব্যবহার এড়িয়ে যেতে হবে।
স্প্রিড ব্রাউজার:
১.গুগোলে টেস্ট করে জেনে নিতে পারেন আপনার ইন্টারনেট স্পিড। নির্ধারিত স্পিডের কম স্পিড পেলে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের জানান,না হলে বাড়িয়ে নিন ।
২.ভালো ব্রাউজার ব্যবহার করুন।ব্রাউজার নিয়মিত আপডেট করুন।
৩. যদি ব্রাউজ করার সময় আপনার ছবি বা ভিডিও দেখার প্রয়োজন না হয়, তাহলে ব্রাউজার টেক্সট' মুডে দিয়ে রাখুন ।
মোবাইল ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর উপায়:
মোবাইল রিস্টার্ট
১.ফোনের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানোর জন্য সবথেকে সহজ উপায় হল মোবাইলটিকে রিস্টার্ট করা। মোবাইল রিস্টার্ট হওয়ার পর নতুন করে নেটওয়ার্ক সার্চ করে। যে কারণে ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে যায়।
২.এছাড়াও আরও একটি উপায় হলো যখন ইন্টারনেট স্পিড কমে যাচ্ছে তখন মোবাইল ডাটা বন্ধ করে আবার চালু করা।
ফ্লাইট মোড অন-অফ করা:
১.মোবাইল রিস্টার্ট করা ছাড়াও মোবাইল নেটওয়ার্ক ফ্লাইট মোড অন করে আবার ফ্লাইট মোড অফ করেও ফোনের ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো যেতে পারে।
২.ফ্লাইট মোড অন অফ করলে মোবাইল রিস্টার্ট করার মতোই নতুন করে নেটওয়ার্ক সার্চ করা হয়। যাতে করে ইন্টারনেট স্পিড বাড়ে। তবে রিস্টার্ট করার ক্ষেত্রে সুবিধা এটাই যে ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্য কোন অ্যাপ চালু থাকলে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় ফিচার অফ রাখা:
১. আপনার স্মার্টফোনের বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় ফিচার অফ করে রাখুন। যাতে আপনি কাজে সময় ইন্টারনেট স্পিড থেকে ব্যাহত না হয়।
২. অটো ডাউনলোড, অটো আপডেট ইত্যাদি অন করা থাকলে অনেক সময় কাজের সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড অথবা আপডেট হতে শুরু করলে ইন্টারনেট স্পিড কমে যায়।তাই স্মার্টফোনের ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে অপ্রয়োজনীয় ফিচার অফ রাখা ভালো।
রিসেট দেওয়া:
১. দীর্ঘস্থায়ীভাবে ইন্টারনেট স্পিড কমে গেলে ফোনের সেটিংস রিসেট করে দেখতে পারেন। কারণ অনেক সময় সেটিংসের পরিবর্তন ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে দেয়।
এসডি কার্ড লক্ষ্য করা:
১. আপনার এসডি কার্ড এর দিকেও খেয়াল রাখুন। পারলে হাইস্পিড এসডি কার্ড ব্যবহার করুন।
২,আপনি যদি স্লো এসডি কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার মোবাইলের ডাউনলোড স্পিডকেও স্লো করে দেবে।
অপ্রয়োজনীয় ফাইল/অ্যাপ ডিলিট করা:
১.সবশেষে আপনি আপনার মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় ফাইল বা ডেটা ডিলিট করতে পারেন ।এতে আপনার মোবাইলের স্পিডকে বাড়াবে।সহজেই. অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
২. আমরা অনেকেই অতিরিক্ত অ্যাপস মোবাইলে ইন্সটল করে থাকি।যেগুলি হয়তো যেগুলি আমাদের কোন কাজে লাগে না। এই সমস্ত অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলি নেটের স্পিড কমিয়ে দেয় ।তাই,অতিরিক্ত অ্যাপস গুলি ডিলিট করে দিন।
এ প্রঙ্গে বলে রাখা ভালো উপরিউক্ত উপায়গুলি কোনটাই দীর্ঘস্থায়ী নয়। স্থান বিশেষে এবং স্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে ইন্টারনেটের স্পিড কমা বাড়া করে। সেক্ষেত্রে যখন একেবারেই স্পিড কমে যায় তখন এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে কিছুটা হলেও সুরাহা মিলে।
0 মন্তব্যসমূহ